স্বাধীনতা দিবস রচনা | ২৬ শে মার্চ এর রচনা, প্রবন্ধ ও অনুচ্ছেদ PDF
স্বাধীনতা দিবস রচনা PDF । বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের রচনা প্রয়োজন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অনেকেই অনলাইনের সহযোগিতা নিয়ে থাকি এর কারণ অনলাইন ভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমাদের মাঝে রচনা প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া অনেকেই রয়েছে যারা অনলাইনে পড়াশুনার কাজে রচনাগুলো পড়ে থাকে অনলাইন অনুসন্ধান করেন। এক্ষেত্রে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এর উপর প্রশ্ন দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব যা আপনারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করেছি কোয়ালিটি সম্পন্ন একটি সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমন্বয়ে গঠিত স্বাধীনতা দিবসের রচনা। সুতরাং আপনারা ছাড়া ২৬ শে মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের রচনা অনুসন্ধান করেছেন । এবং বর্তমান সময়ে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অবস্থান করছেন তারা অবশ্যই আমাদের সাথে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে । স্বাধীনতা দিবসের উপর তথ্য সম্পর্কিত একটি রচনা লিখতে সক্ষম হয়েছি। এক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা নিয়েছি বাংলার উপর উচ্চশিক্ষিত কিছু শিক্ষার্থীর। এক্ষেত্রে আমরা আশা রাখছি পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকলেই এই রচনাটি ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষা কিংবা রচনা প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে আমাদের সাথে থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য তথাপি স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে সুন্দর একটি রচনা নিচে প্রদান করা হচ্ছে। আপনাদের সহযোগিতায় রচনাটি পিডিএফ ফাইল আকারে প্রদান করা হবে এছাড়া লিখিত আকারে প্রদান করা হচ্ছে। অর্থাৎ আপনি চাইলে পিডিএফ ফাইলটি সহজে ডাউনলোড করে অফলাইন থেকে আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যেকোনো স্থানে রচনাটি পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
২৬ শে মার্চের রচনা
২৬ শে মাছের রচনা কিংবা স্বাধীনতা দিবসের রচনা যাই হোক না কেন দুই বিষয়ে এক এর কারণ , ২৬ শে মার্চ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। অনেক শিক্ষার্থীর রয়েছেন যারা এই দুই বিষয়ে দুই ভাবে অনুসন্ধান করে দুইটা জলের উপর ভিত্তি করে একটি রচনা দুইভাবে মুখস্ত করেন। এটি বোকামি ছাড়া আর কিছু নয় এক্ষেত্রে আপনারা এটি রচনায় ভালভাবে পড়ুন এবং সাধারণভাবে কিছু টেকনিক অবলম্বন করে যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো একটি রচনা টাইটেল আসলে একই রচনা লিখতে সক্ষম হবেন। তবে বেশি সংখ্যক মানুষ স্বাধীনতা দিবস লিখে রচনা অনুসন্ধান করেন তাই আমরা রচনা পূর্বে এই টাইটেল ব্যবহার করছি।
স্বাধীনতা দিবস রচনা
আপনারা যারা স্বাধীনতা দিবসের রচনা খুঁজছেন তারা নিচে থেকে স্বাধীনতা দিবসের রচনা টি পড়তে পারে। নিচে রচনাটি প্রদান করা হয়েছে।
ভূমিকা: বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা রয়েছে সুদীর্ঘ রক্তঝরা ইতিহাস। এক সাগর রক্ত ও লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ স্বাধীনতা।
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্তানের একটি অংশ হিসেবে বাঙালিরা পূর্ব পাকিস্তান লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাদের শাসন শোষণ ও বঞ্চনার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানের একটি উপনিবেশে পরিণত করে। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন রকম ভাবে শোষণ করা শুরু করে। এবং এর প্রথম আঘাত হানে আমাদের সংস্কৃতির উপর। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মানুষ স্বাধিকার আন্দোলনে সোচ্চার হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, তারপর অনুষ্ঠিত হয় ৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন,৬৬ সালের ৬ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সর্বশেষ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণ: ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট নামে এদেশের নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালায়। তারা তৎকালীন ঢাকার ইউপিআর সদরদপ্তরে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্র দের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় আশেপাশে যাদের পায় তাদের এ ক্রসফায়ার করে ঘটনাস্থলে মেরে ফেলা হয়। তারা শুরু করে পৃথিবীর নৃশংসতম গণহত্যা। এরপর বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলা হয়। এদেশের নিরীহ মা বোনদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে জোর করে ধর্ষণ করে। বীর বাঙালি তখন গেরিলা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেই আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করে। সর্বশেষ ভারতের মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে 16 ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।
স্বাধীনতার ঘোষণা: ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। গ্রেপ্তারের পূর্বে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার গঠন: ১৯৭১ সালে 10 এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কারন সে সময় বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দি ছিলেন। প্রথম প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে: ৪ ডিসেম্বর থেকে মুক্তি বাহিনী ও ভারতের মিত্র বাহিনী যৌথভাবে হানাদার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ৪ থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী যৌথভাবে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করলে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে। নিশ্চিত পরাজয় দেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের জ্ঞানীগুণী বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্বিচারে হত্যা করে। সর্বশেষ ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে ।
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও চূড়ান্ত বিজয়: 16 ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজী যৌথ বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে ঢাকার সোহার্দী উদ্যানে 93 হাজার সৈন্য নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ফলে বাংলাদেশ চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে।
উপসংহার: নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জন করেছে এই স্বাধীনতা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আমরা আমাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব। রুখে দাঁড়াবো স্বাধীনতার বিপক্ষে সকল অপশক্তিকে। সকলে মিলে একসাথে কাজ করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।