স্বাধীনতা দিবস নিয়ে ভাষণ
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের আজকের এই আলোচনা। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়টি হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ। বন্ধুরা আপনারা যারা স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ পড়তে ভালোবাসেন তারা আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের জন্য স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আমাদের আলোচনাটি সবার মন ছুয়ে যাবে।
২৬শে মার্চ হলো আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এটি একটি জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ অর্জন হলো স্বাধীনতা দিবস। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তাদের স্বাধীনতা লাভ করে এবং বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় আমাদের মুক্তির ইতিহাস স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস। স্বাধীনতার ইতিহাস তিরিশ লক্ষ বাঙালির আত্মত্যাগের ইতিহাস এবং 2 লক্ষ মা-বোনের ত্যাগ তিতিক্ষা ও ও কোটি কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবের ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে যখন নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর পাকিস্তানি সেনারা হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন ২৬শে মার্চ রাতে প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তার নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ 9 মাস যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি তাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা
লাভের সফল হয়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সূচনা হয়।
স্বাধীনতা দিবসের দিনটি দেশে পালিত হয় বিভিন্ন স্লোগান ও রেলির মাধ্যমে। এ দিনটিতে সারাদেশের সব কর্মসূচি বন্ধ থাকে। এ দিনে বাংলাদেশের সকল মানুষ দেশের জন্য শহীদ দের বিনম্রভাবে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তাদের শহীদি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস আমাদের নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিলো বিশাল আর বাঙালির চাওয়া ছিলো একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। যা কিছু নৈতিক আদর্শের উপর ভিত্তি করে দিয়ে চলবে। বাঙালি সেই স্বপ্ন ও চাওয়া আজ স্বার্থক হয়েছে। প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস দাবি নিয়ে আসে। যেহেতু বাঙালির জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা সেহেতু সবাইকে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে এবং আগামী প্রজন্মের মাঝে এই ইতিহাস পৌঁছে দিতে হবে।
স্বাধীনতা দিবস নিয়ে ভাষণ
এখানে আমাদের স্বাধীনতা দিবস নিয়ে ভাষণটি তুলে দেওয়া হলোঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম । উপস্থিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তিক আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি , প্রধান অতিথি , বিশেষ অতিথি , শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বৃন্দ , ছাত্র – ছাত্রী বৃন্দ সবার প্রতি আমার সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ।
আজ ২৬ শে মার্চ , মহান স্বাধীনতা দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার পূর্ব আকাশে রক্ত লাল হয়ে উদিত হয়েছিল একটি নতুন সূর্য ,বাংলার আকাশে উড়েছিল লাল – সবুজের পতাকা । বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ ।
স্বাধীনতা তুমি ফুলের সুবাস কোকিলের কুহুতান তোমায় আনতে দিয়েছি মোরা ৩০ লক্ষ পরাণ।
আমরা কিভাবে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা পেলাম সেই সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয় ।
আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
সাথে সাথে আরও স্মরণ করছি বাংলার সন্তানদেরকে । যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন দিয়ে আমাদেরকে উপহার দিয়েছিলেন । একটি ভূখণ্ড একটি দেশ যার নাম বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ছিল একটি রাষ্ট্র , যার নাম ছিল পাক – ভারত । ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারত আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর ।
আজকের বাংলাদেশকে বলা হতো পূর্ব পাকিস্তান । আর বর্তমান পাকিস্তানকে বলা হতো পশ্চিম পাকিস্তান।
পাকিস্তান রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে থাকায় পূর্ব পাকিস্তানের লোকজন মানে আমরা কোন অধিকার পারছিলাম না ।
তারপর থেকেই পূর্ব – পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানিদের যুদ্ধের সূচনা শুরু হয় ।
পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে আমার দেশের সোনার ছেলেরা মাতৃভাষা ছিনিয়ে আনে উর্দু ভাষার পরিবর্তে ঐ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে।
তারপর থেকেই পাকিস্তানের গটফাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো , ইয়াহিয়া খান , মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ , টিক্কা খান , বাঙ্গালীদের জন্য নানান প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকেন।