২৬ শে মার্চের ভাষণ। স্বাধীনতা দিবসের বক্তব্য
২৬ শে মার্চের ভাষণ। 26 শে মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে অনেক আয়োজন এর ব্যবস্থা হয়ে থাকে। এই উৎসব অনুষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন ব্যক্তিগণ বক্তব্য প্রদান করে থাকেন। অনেকেই রয়েছে যারা ইতিপূর্বে এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কখনো বক্তব্য দেয় নি। এমন অবস্থায় বক্তব্যের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বক্তব্য দিতে হলে অনেকেই অনলাইন থেকে বিভিন্ন বক্তব্য মুখস্ত করে থাকেন যেগুলো উপস্থিত বক্তব্যে প্রদান করে থাকেন।
এছাড়াও অনেকেই রয়েছে বক্তব্য দেওয়ার পূর্বে অনলাইন থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যক্তিদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন দিবসের উপর ভিত্তি করে বক্তব্য প্রদান করে থাকি। উন্নত মানের সেরা বক্তব্য প্রদান করা হয়ে থাকে এই ওয়েবসাইটটিতে যেগুলো আপনি মুখস্থ করে সত্যিই অসাধারণ বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবেন যে কোন অনুষ্ঠানে। সুতরাং আমাদের সাথে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বক্তব্য সংগ্রহ করুন।
২৬ শে মার্চের ভাষণ
যেহেতু এই দিবসের উপর ভিত্তি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অফিস আদালত থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে বিভিন্ন আয়োজনের ব্যবস্থা হয়ে থাকে। ছোট বড় সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তব্য প্রচলন রয়েছে স্বাধীনতার চেতনা ধারণ প্রবক্স স্বাধীনতা অর্জনে যে সকল মানুষের ভূমিকা অপরিসীম তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন সহ আজকের বাংলার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ভাষণ প্রদান করে থাকেন। অনেকেই রয়েছেন যারা ভাষণ দিতে অভ্যস্ত না কি বলবেন এক্ষেত্রে চিন্তিত তাই অনলাইন থেকে ভাষণ সংগ্রহ করতে আমাদের ওয়েবসাইটে অবস্থান করছেন। এমন ব্যক্তিদের সহযোগিতার জন্য আমরা নিচে এ দিবসটি উপর ভিত্তি করে ভাষণ প্রদান করছি।
২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্টগ্রামে বিলি করা হয়৷ আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের ইপিআর সদর দপ্তর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেস মারফত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন৷
চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান এদিন দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন৷
মুক্তিযুদ্ধ ও জনগণকে সংঘঠিত করতে এই কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রই প্রাথমিক ভূমিকা পালন করে। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ও স্বাধীনতার ঘোষণাভিত্তিক তারবার্তার আদলে স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কিত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেন এম এ হান্নান, সুলতানুল আলম, বেলাল মোহাম্মদ, আবদুল্লাহ আল-ফারুক, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, কবি আবদুস সালাম এবং মাহমুদ হাসান৷
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম । উপস্থিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তিক আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি , প্রধান অতিথি , বিশেষ অতিথি , শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বৃন্দ , ছাত্র – ছাত্রী বৃন্দ সবার প্রতি আমার সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ।
আজ ২৬ শে মার্চ , মহান স্বাধীনতা দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার পূর্ব আকাশে রক্ত লাল হয়ে উদিত হয়েছিল একটি নতুন সূর্য ,বাংলার আকাশে উড়েছিল লাল – সবুজের পতাকা । বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ ।
স্বাধীনতা তুমি ফুলের সুবাস কোকিলের কুহুতান তোমায় আনতে দিয়েছি মোরা ৩০ লক্ষ পরাণ।
আমরা কিভাবে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা পেলাম সেই সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয় ।
আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
সাথে সাথে আরও স্মরণ করছি বাংলার সন্তানদেরকে । যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন দিয়ে আমাদেরকে উপহার দিয়েছিলেন । একটি ভূখণ্ড একটি দেশ যার নাম বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ছিল একটি রাষ্ট্র , যার নাম ছিল পাক – ভারত । ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারত আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর ।
আজকের বাংলাদেশকে বলা হতো পূর্ব পাকিস্তান । আর বর্তমান পাকিস্তানকে বলা হতো পশ্চিম পাকিস্তান।
পাকিস্তান রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে থাকায় পূর্ব পাকিস্তানের লোকজন মানে আমরা কোন অধিকার পারছিলাম না ।
তারপর থেকেই পূর্ব – পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানিদের যুদ্ধের সূচনা শুরু হয় ।
পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে আমার দেশের সোনার ছেলেরা মাতৃভাষা ছিনিয়ে আনে উর্দু ভাষার পরিবর্তে ঐ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে।
তারপর থেকেই পাকিস্তানের গটফাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো , ইয়াহিয়া খান , মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ , টিক্কা খান , বাঙ্গালীদের জন্য নানান প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকেন।