টিপস

শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা আবেদন – শিশু ও মাতৃ ভাতার যোগ্যতা, টাকার পরিমাণ

শিশু ও মাতৃত্ব ভাতার আবেদন। শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি আর আজকে এর আবেদন সম্পর্কে জানব। শুধু আবেদন নয় শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানবো যেমন কারা এই ভাতার জন্য যোগ্য। এর জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন রয়েছে সেই সাথে টাকার পরিমাণ সহ বিস্তারিত অনেক তথ্য জানতে পারবেন এখান থেকে। অর্থাৎ আপনারা যারা শিশু ও মাতৃত্ব ভাতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী কিংবা জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করেছেন তারা পুরো পোস্টের সাথে থেকে এই বিষয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জানবেন। এর ফলে পরবর্তী সময়ে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে দক্ষ হওয়ায় নিজে সহযোগিতা পাবেন সেই সাথে অন্যকে সহযোগিতা করতে পারবেন।

এটি সম্পূর্ণ একটি সরকারি বিষয় ভিত্তিক সেবা সুতরাং ইউনিয়ন ভিত্তিক চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে এগুলো নির্ধারণ করা হয়। সুতরাং আপনারা যারা এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানেন তারা অবশ্যই আবেদনের জন্য যোগ্য হয়ে থাকে চেয়ারম্যান এর শরণাপন্ন হতে পারেন। আপনার সমস্যার কথা উল্লেখ করে শিশু ও মাতৃত্ব ভাতার জন্য আবেদন করিয়ে নিতে পারেন। আশাকরি বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদের জানাতে পেরেছি পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে আপনারা সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে তা জানতে পারবেন।

শিশু ভাতার আবেদন

আপনি কি জানেন বাংলাদেশ সরকার শিশু ভাতা নামে একটি পদ্ধতি চালু রেখেছেন যেখানে গরীব ও পথচারী শিশুদের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকেন। পৌরসভা আথবা ইউনিয়ন ভিত্তিক সরকারি কর্ম রত ব্যক্তিদের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করে তাদের একটি সিস্টেম এর মধ্য দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে অনেক শিশুই এই বিষয়ে থেকে বঞ্চিত এর কারণ বিভিন্ন কর্মকর্তাগন এই বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের জানায় না। এর ফলে শিশু ভাতার আবেদন সম্পর্কে জানেন না। এ কারণেই অনেক সমস্যাগ্রস্ত শিশু অর্থের অভাবে লেখাপড়া ছেড়ে কর্মীর সাথে জড়িয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে আমরা একটি বিষয় উল্লেখ করে আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই সেটি হলো উপজেলাধীন কর্মকর্তারা কাছে আপনার সমস্যার কথা উল্লেখ করে শিশু কার নামে যদি পরিচিত রয়েছে আমাদের মধ্যে অর্থাৎ শিশু ভাতা আবেদন করে উপকৃত হতে পারেন।

মাতৃত্ব ভাতা কিংবা মাতৃভাতার জন্য আবেদন

বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গরীব ও দরিদ্র মানুষদের সহযোগিতার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাতা নির্ধারণ করে রেখেছেন। এতে করে গরিব-দুঃখী মানুষজন বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়ে লাভবান হতে পারেন। এক্ষেত্রে আমরা যে বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে মাতৃত্ব ভাতা। এই ভাতা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে উপস্থিত হয়েছি আমরা । গর্ভবতী মহিলা এই ভাষার জন্য উপযুক্ত এক্ষেত্রে গরিব ঘরে যে সকল মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় অবস্থান করছেন তারা এই সেবার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত ইউপি সদস্য এর মাধ্যমে আপনি এই সেবাটি পেতে পারেন এছাড়াও আপনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিষয়ে সম্পর্কে জানার পর আবেদনের বিষয়টি সম্পূর্ণ করতে পারেন। আশা করি বিষয়টি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।

মাতৃত্ব ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা

মাতৃত্ব ভাতা পাওয়ার জন্য যেসকল যোগ্যতা থাকা দরকার সেগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এখানে। সুতরাং আপনারা যারা এই পাতাটি পাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন তারা অবশ্যই আপনার যোগ্য কিনা এই বিষয়টি উল্লেখ করা হচ্ছে অবশ্যই নিজেদের কাছে প্রশ্ন করুন। এবং আপনি সেখানে উত্তীর্ণ হলে নিকটস্থ উপজেলা নির্বাহি অফিসার কিংবা ইউনিয়ন ইউপি সদস্য এর মাধ্যমে আপনার মাতৃত্ব ভাতা করিয়ে নিন। আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি এই ক্ষেত্রে নিচে আপনার যে যোগ্যতা থাকতে হবে সেটিই উল্লেখ করা হচ্ছে।

ক. প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল (যেকোনো একবার)।

খ. বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।

গ. মোট মাসিক আয় ১৫০০/- টাকার নিম্নে।

ঘ. দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবেন।

ঙ. কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বাস করে।

চ. নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি, মৎস্য চাষের জন্য পুকু নেই।

ছ. উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকারভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে।

জ. প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণকালে ভাতা প্রাপ্য হবেন।

ঝ. একজন ভাতাভোগী জীবনে একবার ২ (দুই) বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন।

ঞ. কোনো কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট চক্র অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে ২ (দুই) বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন, যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button