লালন গীতি। জনপ্রিয় কিছু লালন গীতি লিরিক্স|
আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি একটি বিশেষ পোস্ট। আর আজকের পোস্টের বিষয় হচ্ছে লালন গীতি। তাই আপনি যদি লালনগীতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে থাকে তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের এই পোস্টের শুধুমাত্র আলোচনা হবে লালন গীতি সম্পর্কে। এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা পেতে চলেছেন জনপ্রিয় কিছু লালন গীতি লিরিক্স। যেগুলো আপনারা এখান থেকে মুখস্থ করে নিতে পারেন এছাড়াও কপি করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। তাই যারা লালনগীতি পছন্দ করেন, ভালোবাসেন এবং মনের মধ্যে লালন করেন, তারা এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন জনপ্রিয় সকল লালন গীতি।
সুতরাং যারা লালনগীতি পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি খুবই ভাল একটি পোস্ট হবে। তেমন কোন ওয়েবসাইট নেই বাংলায় যারা আপনাকে জনপ্রিয় সকল লালনগীতি একসাথে দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবে।
লালন গীতি লিরিক্স
লালন ফকিরের জনপ্রিয় কিছু লালনগীতি রয়েছে। বর্তমান সময়ে কয়েকটি লালনগীতি বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী গেয়ে ভাইরাল করেছেন। এইসকল লালনগীতি গিয়ে ইউটিউবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ তুলেছেন। এর মধ্যে একটি হলো সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে। এই ধরনের বিশেষ কিছু লালনগীতি নিচে দেওয়া রয়েছে।
বাড়ীর কাছে আরশী নগর – লালন গীতি
বাড়ীর কাছে আরশী নগর
সেথা এক পড়শী বসত করে
আমি এক দিনও না দেখিলাম তার ।।
বিরাম বেড়ে অগাধ পানি
নাই কিনারা নাই তরণী পাঁড়ে,
বাঞ্ছা করে দেখবো তারি
কেমনে সেথায় যায়রে।।
কি বলবো পরশীর
হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাইরে,
ক্ষনিক থাকে শূন্যের উপর ক্ষনিক ভাসে নীড়ে
আমি একদিন ও না দেখিলাম তারে ।।
পড়শী যদি আমায় ছুঁতো
যম যাতনা সকল যেত দূরে,
সে আর লালন এক খানে রয়
লক্ষ যোজন ফাঁক রে।।\
আমার এ ঘর খানায় কে বিরাজ করে লালনগীতি
আমার এ ঘর খানায় কে বিরাজ করে ৷
আমি জনম ভরে একদিন
দেখলাম না রে ॥
নড়ে চড়ে ঈশান কোণে
দেখতে পাই নে এই নয়নে
হাতের কাছে যার, ভবের হাট বাজার
ধরতে গেলে হাতে পাই নে তারে ॥
সবে বলে প্রাণ- পাখি
শুনে চুপে চোপে থাকি
জল কি হুতাশন, মাটি কি পবন
কেউ বলে না একটা নির্ণয় করে ॥
আপন ঘরের খবর হয় না
বাঞ্চা করি পরকে চেনা
লালন বলে, পর বলতে পরমেশ্বর
সে কিরূপ আমি কিরূপ রে ॥
আমার মতো প্রাণ কাঁদিলে লালনগীতি
আমার মতো প্রাণ কাঁদিলে
বুঝবি গৌর প্রেমের কালে
দেখাইয়ে এই ভাবের শহর
কোথা গৌর লুকাইলে ॥
যেদিন আমি গৌর হেরেছি
আমাতে কী আমি আছি
কী যেন কী হয়ে গেছি
প্রাণ কাঁদে প্রাণ গৌর বলে ॥
থাক থাক তোরা জাত কূল লয়ে
আমি যাই চাঁদ গৌর বলে
আমার দুঃখ বুঝবিনা রে
এক মরণে না মরিলে ॥
চাঁদ-মুখেতে মধুর হাসি
আমি ঐরূপ ভালোবাসি
লোকে করে দ্বেষাদ্বেষী
গৌর বলে যাই চলে ॥
একা কভূ নয় গৌরাঙ্গ
নয়ন বাঁকা শ্যাম ত্রিভঙ্গ
এমনই তার অঙ্গ গন্ধ
লালন কয় জগত মাতালে ॥
গোপনে রয়েছে খোঁদা লালনগীতি
কাম গোপন, প্রেম গোপন
গুরু লীলা নিত্য গোপন
দেহে তোর মক্কা গোপন
তাও হইলো জানাজানি ৷
গোপনে রয়েছে খোঁদা তারে চিনোনি ॥
আদমে আহাদ গোপন
মিমে দেখ নূর গোপন
নামাজে মারিফত গোপন
তাও কি আবার জানোনি ॥
আরশ কুরছি লওহ কলম
গোপন কয় ফকির লালন
উপরে আল্লাহ গোপন
গুরু হইলো নিশানি ॥
তিন পাগলে হলো মেলা লালনগীতি
তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে ।।
একটা পাগলামি করে
জাত দেয় সে অজাতেরে দৌড়ে গিয়ে
আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে
ধূলার মাঝে ।।
একটা নারকেলের মালা
তাতে জল তোলা ফেলা করঙ্গ সে
পাগলের সঙ্গে যাবি পাগল হবি
বুঝবি শেষে ।।
পাগলের নামটি এমন
বলিতে অধীন লালন হয় তরাসে
চৈতে নিতে অদ্বৈ পাগল
নাম ধরে সে ।।
তোরা কেউ যাসনে ও পাগলের কাছে
রবে না এ ধন লালনগীতি
মন আমার গেল জানা ।
কারো রবে না এ ধন জীবন যৌবন
… তবেরে কেন এত বাসনা;
একবার সবুরের দেশে বয় দেখি দম কষে
উঠিস নারে ভেসে পেয়ে যন্ত্রণা । ।
যে করল কালার চরণের আশা
জানোনারে মন তার কী দুর্দশা
ভক্তবলী রাজা ছিল, সর্বস্ব ধন নিল
বামুনরুপে প্রভু করে ছলনা। ।
প্রহ্লাদ চরিত্র দেখ চিত্রধামে
কত কষ্ট হল সেই কৃষ্ণনামে
তারে অগ্নিতে জ্বালালো জলে ডুবাইল
তবু না ছাড়িল শ্রীরূপসাধনা । ।
কর্ণরাজা ভবে বড় দাতা ছিল
অতিথিরূপে তার সবংশ নাশিল
তবু কর্ণ অনুরাগী, না হইল দুখী
অতিথির মন করল সান্ত্বনা । ।
রামের ভক্ত লক্ষণ ছিল সর্বকালে
শক্তিশেল হানিল তার বক্ষস্হলে
তবু রামচন্দ্রের প্রতি, লক্ষণ না ভুলিল ভক্তি
লালন বলে কর এ বিবেচনা । ।