কবিতা

স্বাধীনতা দিবসের কবিতা। স্বাধীনতা দিবস নিয়ে কবিতা লিরিক্স

স্বাধীনতা দিবসের কবিতা। বাঙালিরা কবিতা পড়তে ভালোবাসেন পছন্দ করেন । তাইতো এদেশের ছোট বড় সকল কবি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লিখে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের কবিতা। বর্তমান সময়ে কবিতাগুলো বইয়ের মাধ্যমে পেপার পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে থাকলেও অনলাইন ভিত্তিক অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা নিয়মিত কবিতা প্রকাশ করে থাকেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর। তেমনি একটি ওয়েবসাইটে আপনি এখন অবস্থান করছেন এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে তৈরি কিছু অসাধারণ কবিতা দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব।

স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত কবিতাগুলো সকল শ্রেণীর মানুষ পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন। এই কবিতাগুলো পড়ে দেশ প্রেম বৃদ্ধি পায় । স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করবে ধরনের কবিতা গুলো পড়ার ও লেখার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও দেশপ্রেমী ব্যক্তিগণ এই ধরনের কবিতা গুলো অনেক পছন্দ করে থাকেন। সুতরাং আপনারা যারা ছোট-বড় স্বাধীনতা দিবসের কবিতা পেতে আগ্রহী তারা আমাদের সাথে থাকুন।

স্বাধীনতার ছোট কবিতা

ছোট ছোট কবিতা গুলো অনেকেই স্ট্যাটাস এসএমএস হিসেবে ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে বড় কবিতাগুলোর থেকে ছোট কবিতা গুলোর ব্যবহার বেশি ও জনপ্রিয়তা বেশি আমরা লক্ষ্য করেছি। নতুন নতুন অনেক ছোট কবিতা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আমাদের মাঝে এসে থাকেন । তাই এখানে আমরা স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে কিছু ছোট কবিতা দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব নিচে কবিতাগুলো প্রদান করা হচ্ছে।

স্বাধীনতা তুমি

– শামসুর রাহমান

স্বাধীনতা তুমি

রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।

স্বাধীনতা তুমি

কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো

মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা-

স্বাধীনতা তুমি

শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা

স্বাধীনতা তুমি

পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।

স্বাধীনতা তুমি

ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।

স্বাধীনতা তুমি

রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।

স্বাধীনতা তুমি

মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।

স্বাধীনতা তুমি

অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক।

স্বাধীনতা তুমি

বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর

শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ।

স্বাধীনতা তুমি

চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।

স্বাধীনতা তুমি

কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা।

স্বাধীনতা তুমি

শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক

স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।

স্বাধীনতা তুমি

উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।

স্বাধীনতা তুমি

বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ।

স্বাধীনতা তুমি বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার।

স্বাধীনতা তুমি

গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল,

হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম।

স্বাধীনতা তুমি

খোকার গায়ের রঙিন কোর্তা,

খুকীর অমন তুলতুলে গালে

রৌদ্রের খেলা।

স্বাধীনতা তুমি

বাগানের ঘর, কোকিলের গান,

বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,

যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।

স্বাধীনতা দিবসের কবিতা লিরিক্স

ছোট থেকে বড় সকল ধরনের কবি এই বিষয়ের উপর নিজের প্রতিভা প্রকাশ করেছেন। লিখেছেন সুন্দর সুন্দর অনেক কবিতা। এদের মধ্যে অনেক কবিতা প্রশংসনীয় হয়েছে। আবার অনেক কবিতা রয়েছে যা আসতে পারেনি আলোচনায় আমরা চেষ্টা করব তেমন কিছু কবিতা এখানে উল্লেখ করার সেইসাথে জনপ্রিয় কিছু কবিতা দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করা হবে। আমরা নিচে কবিতাগুলো প্রদান করছি আপনারা এখান থেকে কবিতা গুলো পড়তে পারেন।

কারার ঐ লৌহকপাট
                –  Kazi Nazrul Islam
কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট শিকল পূজার
পাষাণ-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান,
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ
ধ্বংস নিশান উড়ুক
প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।
গাজনের বাজনা বাজা,
কে মালিক, কে সে রাজা,
কে দেয় সাজা মুক্ত
স্বাধীন সত্যকে রে?
হা হা হা পায় যে হাসি,
ভগবান পরবে ফাঁসি,
সর্বনাশী শিখায় এ হীন
তথ্য কে রে!
ওরে ও পাগলা ভোলা,
দে রে দে প্রলয় দোলা,
গারদগুলা জোরসে ধরে
হেচ্কা টানে
মার হাঁক হায়দারী হাঁক,
কাধে নে দুন্দুভি ঢাক
ডাক ওরে ডাক, মৃত্যুকে
ডাক জীবন পানে।
নাচে ওই কালবোশাখী,
কাটাবী কাল বসে কি
দেরে দেখি ভীম কারার ঐ
ভিত্তি নাড়ি
লাথি মার ভাঙ্গরে তালা,
যত সব বন্দী
শালায়-আগুন-জ্বালা,
আগুন-জ্বালা,
ফেল উপাড়ি।।
জয় বাংলা, বাংলার জয়
জয় বাংলা, বাংলার জয়,
হবে হবে হবে, হবে নিশ্চয়
কোটি প্রাণ একসাথে জেগেছে অন্ধরাতে
নতুন সূর্য ওঠার এই তো সময়।।
বাংলার প্রতি ঘরে ভরে দিতে চাই মোরা অন্নে
আমাদের রক্ত টগবগ দুলছে মুক্তির দৃপ্ত তারুণ্যে
নেই ভয়, হয় হোক রক্তের প্রচ্ছদ পট
তবু করিনা করিনা করিনা ভয়।।
অশোকের ছায়ে যেন রাখালের বাঁশরী
হয়ে গেছে একেবারে স্তদ্ধ
চারিদিকে শুনি আজ নিদারুণ হাহাকার
আর ওই কান্নার শব্দ।
শাসনের নামে চলে শোষণের সুকঠিন যন্ত্র
বজ্রের হুঙ্কারে শৃঙ্খল ভাঙ্গতে সংগ্রামী জনতা অতন্দ্র
আর নয়, তিলে তিলে বাঙালীর এই পরাজয়
আমি করিনা করিনা করিনা ভয়।।
ভূখা আর বেকারের মিছিলটাকে যেন ওই
দিন দিন শুধু বেড়ে যাচ্ছে
রোদে পুড়ে জলে ভিজে অসহায় হয়ে আজ
ফুটপাতে তারা ঠাঁই পাচ্ছে।
বারবার ঘুঘু এসে খেয়ে যেত দেবনা তো আর ধান
বাংলার দুশমন তোষামুদী চাটুকার
সাবধান, সাবধান, সাবধান
এই দিন, সৃষ্টির উল্লাসে হবে রঙীন
আর মানিনা, মানিনা কোন সংশয়।।
মায়েদের বুকে আজ শিশুদের দুধ নেই
অনাহারে তাই শিশু কাঁদছে
গরীবের পেটে আজ ভাত নেই ভাত নেই
দ্বারে দ্বারে তাই ছুটে যাচ্ছে।
মা-বোনেরা পরণে কাপড়ের লেশ নেই
লজ্জায় কেঁদে কেঁদে ফিরছে
ওষুধের অভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে,
রোগে শোকে ধুকে ধুকে মরছে
অন্ন চাই, বস্ত্র চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই
অত্যাচারী শোষকদের আজ
মুক্তি নাই, মুক্তি নাই , মুক্তি নাই।

Banglar Mati Banglar Jol Lyrics In Bengali

বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার
ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক,
পুণ্য হউক হে ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার
ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক,
পুণ্য হউক হে ভগবান
পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক,
পূর্ণ হউক হে ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার
ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক,
পুণ্য হউক হে ভগবান
বাঙালির পণ, বাঙালির
আশা, বাঙালির কাজ,
বাঙালির ভাষা
বাঙালির পণ, বাঙালির
আশা, বাঙালির কাজ,
বাঙালির ভাষা
সত্য হউক, সত্য হউক, সত্য
হউক হে ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার
ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক,
পুণ্য হউক হে ভগবান
বাঙালির প্রাণ, বাঙালির
মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই
বোন
বাঙালির প্রাণ, বাঙালির
মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই
বোন
এক হউক, এক হউক, এক হউক হে
ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার
ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক,
পুণ্য হউক হে ভগবান
বাংলার মাটি, বাংলার জল,
বাংলার বায়ু, বাংলার
ফল
পুণ্য হউক, পুণ্য হউক,
পুণ্য হউক হে ভগবান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button