মজার গল্প । সুন্দর সুন্দর মজার গল্পের বই।
আপনি কি অনলাইন থেকে মজার গল্প গুলো পড়তে চান। তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন বিশেষ করে মজার গল্প গুলো। অবসর সময়ে এসকল গল্প পড়ে সময় কাটান এ ধরনের ব্যক্তি অনেক রয়েছে। এদের উদ্দেশ্য সময় কাটা নয় বরঞ্চ পড়াশোনার মধ্যে থাকা অথবা জ্ঞান অর্জন করার তাগিদে এসকল গল্প পড়ার অভ্যাস করে নিয়েছেন। এটি খুবেই মহৎ একটি গুণ। আর এই সকল গুণবান ব্যক্তি দের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আকর্ষণীয় কিছু মজার গল্প।
আশা করি আমাদের দেওয়া মজার গল্প গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। আমরা দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর সেরা কিছু গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। সুতরাং যারা এই ধরনের গল্প গুলো পড়তে পছন্দ করেন ভালোবাসেন তারা অবশ্যই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
গল্প পড়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকেই রয়েছেন যারা ভূতের গল্প পড়তে ভালোবাসেন। এছাড়াও বেশিরভাগ মানুষ মজার গল্প গুলো পড়তে পছন্দ করেন এবং ভালোবাসেন। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে মজার গল্প গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। আশা করি আমাদের দাও গল্প গুলো আপনারা উপভোগ করবেন। খুবই হাসির এবং মজার এই গল্পগুলো সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল।
মজার গল্প ২০২২
নতুন নতুন মজার গল্প পড়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি বেছে নিতে পারেন। এখানে আমরা সবসময় আপডেট মজার গল্প গুলো দিয়ে থাকি। সুতরাং যারা এই ধরনের মজার মজার নতুন গল্প গুলো পড়তে আগ্রহী তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। খুবই মজার গল্প গুলো নির্বাচন করে আপনাদের জন্য এই ওয়েবসাইটটিতে উপস্থাপন করা হয়। নিচে মজার গল্প গুলো দেওয়া রইল।
মজার গল্প 1
ছেলে শ্বশুরবাড়ী যাবে।
বুদ্ধিশুদ্ধি একটু কম তাই মা তাকে ভাল করে শিখিয়ে দিল।
বলল, তোর শ্বশুরের অসুখ তাই আগে তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করবি কেমন আছেন।
উনি হয়তো বলবেন ভাল। তখন বলবি এইটাই তো আমাদের কাম্য।
তারপর তিনি কি পথ্য করছেন জানতে চাইবি।
তিনি কিছু একটা বলবেন, তুই তখন বলবি অতি উপাদেয় পখ্য, রোজ খেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আসা করি।
তারপর জিজ্ঞেস করবি কোন ডাক্তার তার চিকিৎসা করছেন।
ডাক্তারের নাম শুনে বলতে পারবি তো, “দারুন ডাক্তার, খুব তারাতাড়ি ভাল হয়ে যাবেন !”
আর সব সময় হাসি, হাসি মুখ করে থাকবি কেমন।
মা নেওটা ছেলে ঘাড় নেড়ে বেরিয়ে পড়ল।
শ্বশুর মশাই রোগের জ্বালায় বিছানায় শুয়ে ছটফট করছেন।
জামাই ঘরে ঢূকে, হাসতে,হাসতে জিজ্ঞেস করল,কেমন আছেন বাবা ?
শ্বশুরঃ- আর বাঁচার ইচ্ছা নেই, এবার মরলেই বাঁচি।
জামাইঃ- এটাই তো আমাদের কাম্য। তা কি পথ্য করছেন এখন আপনি ?
শ্বশুরঃ- (চটে গিয়ে) ঘোড়ার ডিম।
জামাইঃ- বাঃ,বাঃ,অতি উপাদেয় পথ্য,রোজ খেয়ে যান ভাল হয়ে যাবেন আসা করি। আবার হাঁসতে-হাঁসতে তা ইয়ে কোন ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন?
শ্বশুরঃ- (আরও চটে) যম।
জামাইঃ- খুব ভাল ডাক্তার, বেশ নাম করা ডাক্তার, আপনি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে উঠবেন।
মজার গল্প 2
ক বর্ধিষ্ণু গ্রাম। ধনী লোকেরা আছে। স্কুল আছে। সরকারি ডিসপেনসারিও আছে। সেই ইংরেজ আমলে জেলায় কোন সম্পন্ন গ্রাম হলেই শুধু অমন ফ্রী ডিসপেনসারি থাকত। সেই গ্রামের এক বাড়িতে অতিথিশালাও ছিল।
এক গরীব মৌলভী সাহেব এক রাতের জন্য সেই অতিথিশালায় উঠেছেন। যাবেন অনেক দূরে। কোন রকমে রাতখানা কাটিয়ে ভোরবেলায় যাত্রা করবেন গন্তব্যের দিকে।
রাত্রি বেলায় ঘুমিয়ে আছেন মৌলভী। হঠাৎ টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙে তার। টিপটিপ করে তাকিয়ে দেখেন ঘরে চোর। তার তো কিছু নেই—একটা ঝোলা মাত্র। তাতে দু’একখানা পুরনো পাজামা আর পাঞ্জাবি। পাঁচটি টাকা আছে তাও কোমরে গোঁজা। তাই মালপত্র টাকা কড়ি নিয়ে তার চিন্তা নেই। আর অতিথিশালায় চুরি করার মত জিনিসপত্র তার চোখে পড়েনি। তাহলে কেন চোর এলো?
সাধু ব্যাপার কি দেখার জন্য ঘাপটি মেরে পড়ে থাকে। চোর আর কিছু না পেয়ে আলমারিতে রাখা নতুন চাদর আর তাতে পেঁচিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ধুয়ে রেখে দেয়া বাসন, পিরিচ কাপ নিয়ে চম্পট দেয়ার উপক্রম করে। মৌলভী সাহেব অমনি লাফ দিয়ে ওঠে চোরকে ধরে ফেলে “চোর চোর” বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
ততক্ষণে চোর ঘরের বাইরে এসে পড়েছে। মৌলভী তাকে তখন ধরে রেখেছেন। ফলে দু’জনে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ইতোমধ্যে বাড়ির লোকজন চাকর-বাকররাও আসে।
এদের দেখে চোর বলে ওঠে, “নাম ফাটায়, মৌলভী। আসলে সে ছিচকে চোর। তা না হলে সামান্য বাসন-প্লেট কাপের লোভ সামলাতে পারে না? কিন্তু কর্তা, পালাতে দেইনি। বাছাধনকে ধরে ফেলেছি।”
মহা হৈচৈ কাণ্ড। মৌলভী মাথা নেড়ে একবার শুধু বলে, “আল্লাহর কসম, ওই তো চোর।”
বাড়ির মালিক চাকরদের বলেন, “দু’জনকেই বেঁধে রাখ। সকালে ফয়সালা হবে।”
সকালে ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট আসেন। চৌকিদার দফাদার আসে। দুজনকেই নিয়ে গিয়ে এক মরা লাশ কাধে তুলে দিয়ে বলে, কবরে নিয়ে যাও। মৃত মানুষ কাধে দুই কথিত চোর। যেতে যেতে এক জায়গায় এসে ক্লান্ত মৌলভী বলেঃ হায় আল্লাহ শেষকালে চোর বানালে।
আসল চোর বলেঃ আমাকে ধরলি কেন? এখন মজা বোঝ।
হঠাৎ শব্দ হয়, থাম, থাম। আমাকে ঘাড় থেকে নামা। প্রেসিডেন্টের নির্দেশে মরার ছদ্মবেশধারী নেমে আসে, আসল চোর চিহ্নিত হয়।