মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার সহজ উপায় 2022
আধুনিক পর্যায় সারণী পর্যায় সারণি মনে রাখার সহজ উপায় |
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়: বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক ছেলে মেয়ে অনলাইনে থেকে টাকা আয় করছে । অনেক সহজ এবং খুব দ্রুত টাকা ইনকাম করা যায়। অনেক ছেলে-মেয়ে এটাকে তাদের প্রফেশন হিসেবে নিচ্ছে। এক বেসরকারি তথ্য মোতাবেক বাংলাদেশের রায় 15 লক্ষ ছেলে মেয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করছে। অনেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে টাকা আয় করছে। তবে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। এই পোস্টে আপনাদের জানাবো মোবাইল দিয়ে কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে হয়। আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মোবাইল দিয়ে কি টাকা আয় করা যায় ?
হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে অবশ্যই টাকা ইনকাম করা যায়। অনলাইনে অনেক কাজ মোবাইলের মাধ্যমেই করা সম্ভব । তবে আপনার মোবাইলটি একটু ভালো ব্যান্ডের হতে হবে। মোবাইল দিয়ে প্রতি মাসে 15 থেকে 30000 টাকা ইনকাম করা যায়।
মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা টাকা আয় করা যায় ?
অনলাইনে যত কাজ আছে সব কাজই কম্পিউটারের মাধ্যমে করা যায়। কিন্তু মোবাইলের মাধ্যমে সীমিত কিছু কাজ করা যায়। যেমন:
• ডাটা এন্ট্রি।
• সিম্পল লোগো ডিজাইন।
• ফটোশপ।
• ফটো এডিটিং।
• আর্টিকেল রাইটিং।
• ইউটিউব থেকে।
• ব্লগিং
এছাড়াও আরো অনেক কাজ রয়েছে, যে কাজগুলো করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
কোন কাজ টা সহজ?
আমি আপনাকে অনেকগুলো কাজের কথা বললাম। আপনি হয়তো সব থেকে সহজ কাজটি করতে চাইবেন। কিন্তু আপনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। মোবাইল দিয়ে সবথেকে বেশি কাজকরাজায় ইউটিউব এবং আর্টিকেল রাইটিং। বর্তমানে বাংলাদেশে আর্টিকেল রাইটার কা প্রতি মাসে 30 থেকে 50 হাজার টাকা ইনকাম করছে। অনেক রাইটার শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ইউজ করেই এ কাজগুলো করে থাকে।
কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই এই কথাটা মাথায় রাখবেন। যেকোনো একটি কাজের দিকে মনোনিবেশ করুন। সেই কাজটি মনোযোগ দিয়ে শিখুন। কাজ শেখার সময় অবশ্যই কবে আয় করবেন
এই কথা চিন্তা করবেন না। আপনি শুধু শিখুন। আপনি যদি ভালোভাবে সেই কাজটি আয়ত্ত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি কাজ পাবেন ।
অনেকেই আছে কাজ শেখার আগেই তাদের চিন্তা থাকে কিভাবে কাজ পাব ,কত টাকা ইনকাম করব ইত্যাদি বিষয় ।এই সব ভুল চিন্তা কারণে তারা ভালোভাবে কাজ শিখতে পারেনা।
আপনার প্রতি আমার উপদেশ থাকবে, সবগুলো কাজের বিষয়ে বিস্তারিত জানার পরে নির্দিষ্ট একটি বিষয় নির্বাচন করুন। আপনার মন যেটা চায় সেই কাজটি শিখুন।
মোবাইল দিয়ে কত টাকা আয় করা সম্ভব ?
বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে একটি তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, মোবাইল এর মাধ্যমে ৫ থেকে ৫০ হাজারের উপরে টাকা ইনকাম করা সম্ভব । তবে এই ইনকাম অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে ।
1. কি ধরনের কাজ করছেন
2. সারাদিন কতক্ষণ কাজ করছেন এবং
3. সঠিকভাবে কাজ করছেন কিনা .
যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করা সম্ভব ।
আর কিভাবে টাকা আয় করা যায় ?
অনলাইন থেকে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা এটা হল একটি বিকল্প পদ্ধতি। কম্পিউটার ইউজ করে নেটে কাজ করতে হয়। অনলাইন জগতে প্রায় 1000 এর উপর কাজ রয়েছে। যে কাজগুলো করে অর্থ ইনকাম করা সম্ভব। এখন প্রশ্ন আছে কম্পিউটারের মাধ্যমে কি কি কাজ করা যায়।
• গ্রাফিক্স ডিজাইন।
• ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
• ব্লগিং
• আর্টিকেল রাইটিং।
• ডাটা এন্ট্রি
• ফটোশপ
• লোগো ডিজাইন
• সাইন আপ ফর্ম
• এসইও
• সোশ্যাল বুকমার্কিং
• অ্যাফিলিয়েট
• রিসেলার
• ফটোগ্রাফার
• মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন ।
• শিক্ষা
এই কাজ গুলো ইন্টারনেটের সবথেকে জনপ্রিয় কাজ । গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সবথেকে মূল্যবান কাজ। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি মাসে 10 থেকে 15 লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে।
কম্পিউটার দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ?
অনলাইনে এসব কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে। ঐ সকল ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন জন তাদের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার খোঁজ করে। ওইখান থেকে কাজ নিতে হয়। তারপরে আপনি আপনার বাসায় বসে কাজ শেষ করে তা ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিতে হবে।
দিনে কয় ঘণ্টা কাজ করলে কত টাকা আয় করা যায়?
দিনে দুই থেকে 12 ঘন্টা কাজ করে অনেকে সফলতা পেয়েছে। যারা একটু বেশি এক্সপার্ট তাদের সময় কম লাগে। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা রাতে বেশি কাজ করে। রাতে কাজ করার এমন কোন উদ্দেশ্য নাই। রাতে আশেপাশে ঝামেলা কম হয় সেজন্য কাজে বেশি মনোযোগ দেওয়া যায়। আপনি ইচ্ছা করলে রাত অথবা দিন যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন। অনলাইনে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, যারা অনেক অভিজ্ঞ তারা দিনে 5 থেকে 6 ঘন্টা কাজ করে প্রতিমাসে 1 লক্ষ টাকার উপরে আয় করে। যারা প্রথমদিকে কাজ শিখছে তারা যদি দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা কাজ করে তাহলে প্রতিমাসে 20 থেকে 50 হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এই আয়ের পরিমাণ আস্তে আস্তে বাড়তে থাকবে।
আমি কিভাবে কাজ শুরু করবো ?
এখন প্রশ্ন হলো ,সবই তো বুঝলাম কিন্তু আমি শিখ বো কিভাবে? অনলাইনে কাজ শিখবো আমি কিছু পদ্ধতি বলে দিচ্ছি সেগুলো ফলো করলে আপনি অনলাইনে কাজ শিখতে পারবেন।
- আপনার আশেপাশে কোন ফ্রিল্যান্সার আছে কিনা খুঁজে দেখুন। তার সাথে কথা বলে দেখুন সে যদি আপনাকে সময় দিতে পারেন তাহলে তার থেকে কাজ শিখুন।
- আপনি ইউটিউব থেকে কাজ শিখতে পারেন। ইউটিউবে যেকোনো কাজ শেখার মতো যথেষ্ট পরিমান ভিডিও আছে। আপনি কারো কাছে শিখতে গেলে হয়তো সে সবকিছু আপনাকে শেখাবে না। কিন্তু আপনি ইউটিউবে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
- বাংলাদেশের প্রতিটা জেলাতে অনলাইনে কাজ শেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের আইটি প্রতিষ্ঠান আছে। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে অনলাইনে কাজ শিখতে পারবেন।
- এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার অনলাইনে কাজ শেখানোর জন্য কিছু প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছেন। একটু চোখ কান খোলা রাখলে আপনি ফ্রিতে এসকল প্রজেক্ট এর মাধ্যমে কাজ শিখতে পারবেন।
- আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অবশ্যই আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনার মোবাইল নম্বরটি অথবা আপনার ইমেইল নাম্বার টি প্রদান করুন।
কিভাবে টাকা পাওয়া যায়?
কয়েকটি মেথড এর মাধ্যমে আপনি টাকা রিসিভ করতে পারবেন। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা মাস্টার কার্ড ,পেপাল, পায়োনার ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা রিসিভ করে থাকে।যারা গুগল এডসেন্স অর্থাৎ ব্লগিং করে তারা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে টাকা রিসিভ করে। আমি কিছু কাজের বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিত জানাচ্ছি
গ্রাফিক্স ডিজাইন:
আমরা বিভিন্ন সময়ে অনেক সুন্দর সুন্দর পিকচার অথবা বিভিন্ন ধরনের কার্টুন এর ছবি দেখে থাকি। এই কাজগুলা গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা করে । ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করা হয়। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা প্রতিমাসে 50 থেকে দুই লাখের উপরে ইনকাম করতে পারে।
ব্লগিং:
অনলাইনের সবথেকে সহজ কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং অর্থ হচ্ছে লেখালেখি করা এবং সেই লেখাকে একটি ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা। ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে কিভাবে টাকা পাওয়া যায় এই কথা ভাবছেন? ব্লগিং থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বিস্তারিত।
ইউটিউব:
আমরা সব সময় ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখে থাকি। লক্ষ্য করবেন ভিডিওর মাঝখানে বিভিন্ন ধরনের এড দেখতে পাই। ওই ভিডিওটি মালিক যে, সেওই এদের কারণে টাকা পায়। টাকাটা কে দেবে তাহলে? টাকাটা দেবে ইউটিউব। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। আপনিও বিভিন্ন ধরনের ফানি ভিডিও অথবা শিক্ষামূলক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায় সম্পূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। একটি পোস্টের মধ্যে এত তথ্য দেওয়া সম্ভব হলো না তাই বাধ্য হয়ে অন্য একটি পোস্ট লিখতে হয়েছে।
আর্টিকেল রাইটিং:
আর্টিকেল রাইটিং অন্যতম একটি সহজ কাজ। আপনি এতক্ষণ ধরে যা পড়লেন এটা একটি আর্টিকেল। আর্টিকেল মানে হল বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রদান করা। আপনিও মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এই তথ্য পাওয়ার জন্য আমার এই পোস্টে এসেছিলেন। আমি এই সম্পর্কে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করেছি। এখন প্রশ্ন আর্টিকেল লিখে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব?
সাধারণত যারা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট চালায় তাদের পক্ষে এতগুলো পোস্ট করা সম্ভব হয়না । তাই তারা বিভিন্ন আর্টিকেল রাইটার কে টাকা দিয়ে তাদের আর্টিকেল কেনে। আর্টিকেল তাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে।
One Comment