মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২২ এসএমএস, স্ট্যাটাস, উক্তি, ছবি ও কবিতা
মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২২। প্রিয় পাঠক বন্ধু আপনাদের সকলকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে আমরা আবারও নিয়ে এসেছি মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। এর কারণ বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে স্বাধীনতা দিবস উপস্থিত হয়েছে। আর এই দিনটি আমাদের মাঝে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই অনেকেই এই বিষয়ে এসএমএস, স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ ও কবিতা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন।
সুতরাং আপনাদের এই বিষয়ে কোন কিছুর প্রয়োজন হয়ে থাকলে তা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। এর কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে বিভিন্ন দিবসের উপর ভিত্তি এ ধরনের তথ্যগুলো প্রদান করে থাকে। সুতরাং আপনারা যারা অনলাইন থেকে স্বাধীনতা দিবসের এস এম এস, স্ট্যাটাস, উক্তি, ছবি অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অবস্থান করছেন তারা এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত নতুন অনেক এসএমএস, স্ট্যাটাস ও ছবি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি যা এখানে প্রদান করা হবে।
মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২২
আপনাদের সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবস। প্রতিবছর 26 শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়ে থাকে। স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করব বাঙালিরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন এই দিনটি পালনের জন্য। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদিকে উদযাপিত হয়ে থাকে। এছাড়াও গত বছর গুলোর তুলনায় বর্তমান সময়ের এই নীতির উপর বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন বর্তমান সরকার ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত 26 শে মার্চ এ দিনটি যেমন বড় ভাবে উদযাপন করা সম্ভব হয়নি এর উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে করোনা মহামারী পরিস্থিতি। তবে আমরা আশা করছি এবারে স্বাধীনতা দিবসকে অনেক বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করা হবে।
মহান স্বাধীনতা দিবসের এসএমএস
অনেকেই রয়েছেন যারা অনলাইনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এসএমএস অনুসন্ধান করে থাকেন। এ সকল ব্যক্তিদের সহযোগিতার লক্ষ্যে আমরা নতুন সেরা কিছু স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত এসএমএস তৈরি করেছি সেখান থেকে আপনারা সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে পারবেন আপনার পরিবার সহ বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে। আপনাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে আমরা বেশ কিছু স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত নতুন এসএমএস প্রদান করছি। সুতরাং নিজে থেকে এসএমএস গুলো দেখে আপনার পছন্দের এসএমএস টি নির্বাচন করে ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে। মহান স্বাধীনতা দিবস এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করে এসএমএস গুলো নিচের প্রদান করা হলো:
**২৬শে মার্চ তুমি নও শুধু একটি তারিখ। নও একটি স্মৃতি চিহ্ন, তুমি লাখো শহীদের রক্তের প্রতিক। তুমি চির বঞ্চিতের হুংকার,আবার তুমিই দিয়েছো চির শান্তি, ৩০ লক্ষ শহীদ আত্মার।
**২৬ মার্চ তুমি একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলা মায়ের আকাশ পাড়ে, তোমার জন্যই আজি বইছে আনন্দ, উল্লাস স্নেহ মাখা বাংলার হৃদয় জুড়ে। সকলকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
**”স্বাধীনাতা তুমি ……” মহান স্বাধীনতার জন্য যে সকল অকুতোভয় বীর সন্তানরা বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের তাজা প্রাণ সে সকল শহীদদের স্মরণে….. সকলকে মহাণ স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন।
**”একটি বাংলাদেশ তুমি… জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।” সারা বিশ্বের বিস্ময় এই বাংলাদেশের জন্য আসুন আমরা সবাই মিলে কাজ করি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এটাই হোক আমাদের শপথ।
**তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু,তোমার মাঝেই শেষ ৷তবু ভালো লাগা ভালোবাসাময় তুমি,আমার বাংলাদেশ ৷ আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।
** আমরা লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আশা, তাই প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতাকে উত্তরই মেলাবার আজই তো সময়- সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ।
** একটি বাংলাদেশ তুমি… জনতার,সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমারঅহংকার। সারা বিশ্বের বিস্ময় এইবাংলাদেশের জন্য আসুন আমরা সবাইমিলে কাজ করি।
** ১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার। তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান,স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।
** বিজয় মানে একটি লাল পতাকা, বিজয়’ মানে একটি মানচিত্র, বিজয় মানে গৌরব, বিজয় মানে আনন্দ বিজয় উল্লাস. স্বাধীনতার ৫০তম উদযাপন উপলক্ষে সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
”প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ…” আমাদের জীবন-মরণ এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা।
তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু,তোমার মাঝেই শেষ ৷তবু ভালো লাগা ভালোবাসাময় তুমি,আমার বাংলাদেশ ৷
২৬ মার্চ তুমি একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলা মায়ের আকাশ পাড়ে, তোমার জন্যই আজি বইছে আনন্দ, উল্লাস স্নেহ মাখা বাংলার হৃদয় জুড়ে। সকলকে মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর – জীবনানন্দ দাশ
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন। – শামসুর রাহমান
যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমার বুকের মধ্যে আমাকে লুকিয়ে রাখো আমি এই মাটি ছেড়ে, মাটির সান্নিধ্য ছেড়ে, আকাশের আত্মীয়তা ছেড়ে, চাই না কোথাও যেতে, কোথাও যেতে – মহাদেব সাহা
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলব না – গোবিন্দ হালদার
মহান স্বাধীনতা দিবস ছবি
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ছবির ব্যবহার অপরিসীম। এর কারণ সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা দিবস সম্পর্কিত ছবি গুলো লক্ষ্য করি। এই ছবিগুলো এছাড়াও আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে । যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন না কেন সকলে আকর্ষণীয় সুন্দর ছবি গুলো ব্যবহার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাই আমরা আমাদের সাধ্যমত সুন্দর গ্রাফিক্স সহ কোয়ালিটি সম্পন্ন কিছু আকর্ষণীয় ছবি নির্বাচন করেছি যা স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এবং এই ছবিগুলো এখানে প্রদান করা হবে আপনি চাইলে আপনার পছন্দের ছবিটি ফ্রিতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে। আমরা আশা করছি আমাদের দাও ছবিগুলো আপনার ভালোর আসে নিশ্চয় ছবিগুলো প্রদান করা হলো:
মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস
বর্তমান সময়ে অনেকেই স্ট্যাটাস গুলো সংগ্রহ করে থাকেন অনলাইন থেকে। এই স্ট্যাটাস গুলো অনলাইন থেকে সংগ্রহ করে আবার সোশ্যাল মিডিয়ার সহযোগিতা পেতে ব্যবহার করে থাকেন। মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত স্ট্যাটাসগুলো প্রয়োজন থাকলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে স্ট্যাটাসগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। স্বাধীনতা দিবসে আমাদের মাঝে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই বিপুলসংখ্যক মানুষ অনলাইনে আসছেন স্ট্যাটাস সংগ্রহের লক্ষ্যে। ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ টুইটার লিংকটি়ং ট্রলারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার স্ট্যাটাস এর ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করে থাকি। এ সকল ক্ষেত্রে থেকে যেকোন ক্ষেত্রে আপনি স্ট্যাটাস প্রধান কিনতে চাইলে আমাদের দেওয়া সেরা স্ট্যাটাস গুলো দেখে নিতে পারেন। লেডিস কিছু স্ট্যাটাস তৈরি করেছি আপনাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে সুতরাং সকল স্ট্যাটাসের মধ্যে থেকে আপনার জন্য উপযুক্ত স্ট্যাটাসটি নির্বাচন করে কপি করে ব্যবহার করতে পারেন।
তাকে চিৎ করা হলো। পেটের ওপর উঠে এলো দু’জোড়া বুট, কালো ও কর্কশ। কারণ সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো, বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো- বুঝি সে-কারণে ফর ফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার শার্ট। প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তার দুটো হাত- মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে, যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট, লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো। সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সে এখন মৃত। তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতো ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত। তার থ্যাতলানো একখানা হাত পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর, আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা-
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খামারে, সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে।
– হেলাল হাফিজ
”প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ…” আমাদের জীবন-মরণ এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে সবাইকে শুভেচ্ছা।
”স্বাধীনাতা তুমি ……” মহান স্বাধীনতার জন্য যে সকল অকুতোভয় বীর সন্তানরা বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের তাজা প্রাণ সে সকল শহীদদের স্মরণে….. সকলকে মহাণ স্বাধীনতা দিবসের অভিনন্দন।
তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু,তোমার মাঝেই শেষ ৷তবু ভালো লাগা ভালোবাসাময় তুমি,আমার বাংলাদেশ ৷
২৬শে মার্চ তুমি নও শুধু একটি তারিখ। নও একটি স্মৃতি চিহ্ন, তুমি লাখো শহীদের রক্তের প্রতিক। তুমি চির বঞ্চিতের হুংকার,আবার তুমিই দিয়েছো চির শান্তি, ৩০ লক্ষ শহীদ আত্মার।
এই স্বাধীনতা তখনি আমার কাছে প্রকৃত স্বাধীনতা হয়ে উঠবে, যেদিন বাংলার কৃষক-মজুর ও দুঃখী মানুষের সকল দুঃখের অবসান হবে – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর – জীবনানন্দ দাশ
যে মাঠ থেকে এসেছিল স্বাধীনতার ডাক, সেই মাঠে আজ বসে নেশার হাট – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
তোমার বুকের মধ্যে আমাকে লুকিয়ে রাখো আমি এই মাটি ছেড়ে, মাটির সান্নিধ্য ছেড়ে, আকাশের আত্মীয়তা ছেড়ে, চাই না কোথাও যেতে, কোথাও যেতে – মহাদেব সাহা
মহান স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত কবিতা
আমাদের দেশের ছোট-বড় অনেক কবি রয়েছে যারা কবিতা লেখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব রাখে। এক্ষেত্রে সকলেই কবিতা লিখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে কবিতা লেখা হয়ে থাকে। তবে সকল কবিতায় সোশ্যাল মিডিয়া সহ অনলাইন জগতে আসেনা বিশেষজ্ঞ কবিতা রয়ে যায় কবিদের খাতায়। এই সকল কবিতার মধ্য থেকে সেরা কিছু কবিতা আমরা নির্বাচন করেছি আপনাদের মাঝে প্রকাশের উদ্দেশ্যে। এক্ষেত্রে আমরা বুকে রেখেছি নতুন ছোট কবিতা গুলোর উপর। সুতরাং আপনার জায়গায় অন্য কবিতাগুলো অনলাইনে অনুসন্ধান করছেন এবং বর্তমান সময়ে আমাদের ওয়েবসাইটে অবস্থান করছেন তারা এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ।
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ …।
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প।
সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর।
না পার্ক না ফুলের বাগান, -এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়।
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে।
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক।
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে।
একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।
স্বাধীনতা তুমি
– শামসুর রাহমান
স্বাধীনতা তুমি
রবিঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান।
স্বাধীনতা তুমি
কাজী নজরুল ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো
মহান পুরুষ, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে কাঁপা-
স্বাধীনতা তুমি
শহীদ মিনারে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির উজ্জ্বল সভা
স্বাধীনতা তুমি
পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।
স্বাধীনতা তুমি
ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।
স্বাধীনতা তুমি
রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।
স্বাধীনতা তুমি
মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।
স্বাধীনতা তুমি
অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক।
স্বাধীনতা তুমি
বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর
শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ।
স্বাধীনতা তুমি
চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।
স্বাধীনতা তুমি
কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা।
স্বাধীনতা তুমি
শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক
স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।
স্বাধীনতা তুমি
উঠানে ছড়ানো মায়ের শুভ্র শাড়ির কাঁপন।
স্বাধীনতা তুমি
বোনের হাতের নম্র পাতায় মেহেদীর রঙ।
স্বাধীনতা তুমি বন্ধুর হাতে তারার মতন জ্বলজ্বলে এক রাঙা পোস্টার।
স্বাধীনতা তুমি
গৃহিণীর ঘন খোলা কালো চুল,
হাওয়ায় হাওয়ায় বুনো উদ্দাম।
স্বাধীনতা তুমি
খোকার গায়ের রঙিন কোর্তা,
খুকীর অমন তুলতুলে গালে
রৌদ্রের খেলা।
স্বাধীনতা তুমি
বাগানের ঘর, কোকিলের গান,
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা,
যেমন ইচ্ছে লেখার আমার কবিতার খাতা।