শিক্ষা ও জীবন

ভাব সম্প্রসারণ দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়

ভাব সম্প্রসারণ দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায়: বর্তমানে বাংলা দ্বিতীয় পত্রে অবশ্যই ভাব সম্প্রসারণ লক্ষ্য করে থাকি আমরা। এক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভাব সম্প্রসারণ রয়েছে যেগুলো প্রায়ই পরীক্ষার প্রশ্নের লক্ষ্য করে থাকি। এর মধ্যে আজকের আলোচিত ভাব সম্প্রসারণটি তাদের মধ্যেই একটি। অনেকে এই ভাব সম্প্রসারণ অনলাইন থেকে পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাই আমরা আমাদের আলোচনায় আজকে ভাব সম্প্রসারণটি নিয়ে এসেছি। সুন্দর বইয়ের ভাষায় ভাব সম্প্রসারণটি তুলে ধরা হয়েছে আপনাদের মাঝে । সুতরাং আপনারা যারা দুর্নীতি জাতির সকল উন্নতির অন্তরায় এই ভাব সম্প্রসারণ কি অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন তারা এখান থেকেই ভাব সম্প্রসারণটি দেখে নিতে পারেন।

প্রতিনিয়ত কিছু শিক্ষার্থী অনলাইনে পড়ার জন্য ভাব সম্প্রসারণ গুলো অনুসন্ধান করে থাকেন তাই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি বিভিন্ন ভাব সম্প্রসারণ সহ প্রবন্ধ রচনা গুলো দিয়ে আপনাদেরকে সহযোগিতা করব এ পর্যায়ে আমরা ভাব সম্প্রসারণ দিয়ে সহযোগিতা করছি । নিচে তুলে ধরা হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ টি।

লভাবঃ

জাতি, উন্নতি, দুর্নীতি -এ ত্রয়ীর উচ্চারণের শেষান্তে মিল থাকলেও প্রথমটির জন্য দ্বিতীয়টি যতটা প্রয়ােজনীয়, দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তৃতীয়টি ততােধিক ক্ষতিকর ও বর্জনীয়।

সম্প্রসারিত ভাবঃ

অসৎ বা অবৈধ সুবিধা লাভের জন্য মানুষের পরিচালিত কার্যক্রমের নামই দুর্নীতি। অপরদিকে, উন্নতি হচ্ছে পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অবাঞ্ছিত অবস্থা থেকে বাঞ্ছিত অবস্থায় উত্তরণ। সাধারণভাবে সারাবিশ্বেই এটি বিশ্বাস করা হয় যে, দুর্নীতি জাতীয় উন্নতির অন্তরায়।দুর্নীতি ও উন্নতির সম্পর্ক আপাত বিরােধী। একদিকে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে,অপরদিকে ব্যাপক দুর্নীতির ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায়। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে দুর্নীতি বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে “বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রােধ করা গেলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশ বেড়ে যেত এবং মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হত”। দুর্নীতি দেশি-বিদেশি বিনিয়ােগের ক্ষেত্রেও একটি অন্যতম বাধা। অপরদিকে, দুর্নীতি এবং দারিদ্র্য আমাদের জাতীয় জীবনের দু’টি সমবর্তী সমস্যা। দারিদ্র্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সহায়তা করছে, আবার দুর্নীতির ফলে আমরা দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছি না। সম্প্রতি প্যারিসে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের বৈঠকে বিশ্বব্যাংক যে নিবন্ধ উপস্থাপন করে তাতে বলা হয়, বাংলাদেশকে ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য, সুশাসন ও দুর্নীতি বিরােধী অভিযানে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মানব উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের ৭৫ ভাগই দুর্নীতিবাজরা আত্মসাৎ করছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রণীত রিপাের্টে দেখা যায়।

মন্তব্যঃ

দুর্নীতি উন্নতির প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি মূর্তিমান অভিশাপ হিসেবে বিরাজ করে উন্নতির ক্ষেত্রে মারাত্মক অন্তরায় সৃষ্টি করছে। তাই যে কোনাে মূল্যে সরকার ওজনগণের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এদেশ থেকে দুর্নীতির মূলােৎপাটন করতে হবে। তবেই এদেশে সােনালি ও সুখী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button