নারী নির্যাতন আইন| আইডি নাম্বার , নারী নির্যাতন আইন দমন আইনের ধারা। নারী নির্যাতন মামলা কোথায় করবেন
নারী নির্যাতন আইন। বর্তমান সময়ে নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর উল্লেখ করে এই নারী নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার নারী নির্যাতন আইন আরও সচেতন আরো কঠিন রূপ দিয়েছেন আমরা অনেকেই এই আইন গুলো সম্পর্কে জানি না এক্ষেত্রে আজকের পোষ্টে নারী নির্যাতন আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করব। সেই সাথে নারী নির্যাতন আইন এর নাম্বার নারী নির্যাতন আইনের ধারা কোথায় গিয়ে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করবেন এই বিষয়ে সহ বিস্তারিত অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে আপনাকে।
সুতরাং যে সকল মানুষ নারী নির্যাতন আইন সম্পর্কে বা আইনের ধারা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী জানার জন্য অনলাইন অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অবস্থান করছেন তারা সঠিক ওয়েবসাইটে এসেছেন।
নারী নির্যাতন আইন কি
নারী নির্যাতন শব্দটি থেকে আমরা কি বুঝি ? নারীদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার অন্য সকল ভাবে নির্যাতন করা কেই নারী নির্যাতন বলা হয়। যৌতুক প্রথার উপর ভিত্তি করে নারী নির্যাতন হয়ে থাকে এছাড়া সামাজিক অনেক ক্ষেত্রে অনেক কারণেই আমরা নারীদের নির্যাতন হতে দেখে থাকি। এই সকল নির্যাতিত নারীদের পক্ষে বাংলাদেশ সরকার কি আয় নির্ধারণ করেছে সেগুলো আমরা জানবো এবং সেই আইনগুলোকে মূলত নারী নির্যাতন আইন বলা হয়ে থাকে। নারী নির্যাতন আইন খুবই কঠিন নারীদের পক্ষে। এটি খুবই ভয়াবহ একটি অপরাধ অবশ্যই আমরা এই অপরাধ থেকে দূরে থাকবো নারীদের অধিকার বুঝিয়ে দেব তাদের উপর কোন অত্যাচার করবো না।
নারী নির্যাতন আইন
এই আইন সংক্রান্ত বিষয়ক বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমাদের জানতে হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অপরের সাথে সম্পর্কিত। এর কারণ আইনের ধারাগুলো অনুযায়ী দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই নারী ও শিশু নির্যাতন কথাটি একসাথে উল্লেখ্য। নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধমূলক কঠোরভাবে দমনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান প্রকল্পে প্রণীত আইন যেগুলো রয়েছে সেগুলোর শিরোনাম ও সংঘা আমরা নিচে তুলে ধরছি।
১৷ এই আইন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে।
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(ক) “অপরাধ” অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ;
(খ) “অপহরণ” অর্থ বলপ্রয়োগ বা প্রলুব্ধ করিয়া বা ফুসলাইয়া বা ভুল বুঝাইয়া বা ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন স্থান হইতে কোন ব্যক্তিকে অন্যত্র যাইতে বাধ্য করা;
(গ) “আটক” অর্থ কোন ব্যক্তিকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন স্থানে আটকাইয়া রাখা;
(ঘ) “ট্রাইব্যুনাল” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন ট্রাইব্যুনাল;
(ঙ) “ধর্ষণ” অর্থ ধারা ৯ এর বিধান সাপেক্ষে, Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর Section 375 এ সংজ্ঞায়িত “rape”;
(চ) “নবজাতক শিশু” অর্থ অনূর্ধ্ব চল্লিশ দিন বয়সের কোন শিশু;
(ছ) “নারী” অর্থ যে কোন বয়সের নারী;
(জ) “মুক্তিপণ” অর্থ আর্থিক সুবিধা বা অন্য যে কোন প্রকারের সুবিধা;
(ঝ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
1[ (ঞ) “যৌতুক” অর্থ-
(অ) কোন বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক উক্ত বিবাহের সময় বা তৎপুর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে বিবাহের কনে পক্ষের নিকট দাবীকৃত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ; অথবা
(আ) কোন বিবাহের কনে পক্ষ কর্তৃক বিবাহের বর বা বরের পিতা বা মাতা বা প্রত্যক্ষভাবে বিবাহের সহিত জড়িত বর পক্ষের অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্ত বিবাহের সময় বা তৎপুর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ স্থির থাকার শর্তে, বিবাহের পণ হিসাবে প্রদত্ত বা প্রদানে সম্মত অর্থ, সামগ্রী বা অন্যবিধ সম্পদ;
(ট) “শিশু” অর্থ অনধিক ষোল বৎসর বয়সের কোন ব্যক্তি;]
(ঠ) “হাইকোর্ট বিভাগ” অর্থ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগ৷