কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম আপনাদের সকলের প্রতি রইল আমাদের পক্ষ থেকে অনেক অনেক প্রীতি এবং শুভকামনা। পাঠক বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের নতুন পোস্টটি হচ্ছে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আমি আজকে আমার এই পোষ্টে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সমূহ আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকের এ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে কোন ধারনা নেই যার কারণে তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে। তাইতো আমি আজকে আপনাদের মাঝে এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার আজকের কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত পোস্ট টি আপনাদের সকলের উপকারে আসবে।
কিডনি হচ্ছে মানুষের শরীরের প্রধান অঙ্গ। এটি মানুষের শরীরকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিডনি কে বৃক্ক বলা হয়ে থাকে। এটি মানুষের দেহের এমন একটি অংশ যা মানুষের রেচন তন্ত্রের বিভিন্ন রকম কর্ম সাধন করে থাকে। কিডনি মানুষের দেহের রক্তের বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং দেহে মূত্র উৎপাদন করে থাকে। এটি দেহের পানি সঞ্চালন করে থাকে এবং দেহে বিভিন্ন রকম পিটুইটারি হরমোন ও প্রয়োজনীয় ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে।কিডনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি কোনো কারণে দুর্বল বা অকেজো হয়ে গেলে মানুষের শরীরের সমস্ত ভারসাম্য চলে যায়।
কিডনি রোগের লক্ষণ
পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের মাঝে কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের আজকের এই পোস্ট টি থেকে আপনারা কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমাদের আজকের এই পোস্ট টিতে আমরা আপনাদের সকলকে সতর্ক করতে এই পোস্টটি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের আজকের এই কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো সংগ্রহ করে আপনি নিজে সতর্ক থাকতে পারবেন এবং আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত জনদের কে সতর্ক করতে পারবেন। নিচে কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো তুলে দেওয়া হলো:
- সবসময় ক্লান্তি অনুভব।
- অমনোযোগী।
- সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ ফুলে যাওয়া।
- হাত পা ফুলে যাওয়া।
- সব সময় ঠান্ডা লাগা।
- কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ।
- শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
- শরীর দুর্বল, ক্ষুধামন্দ্য,বমি বমি ভাব।
- নিদ্রাহীনতা।
- ছয় বছর বয়সের পরেও রাত্রে বিচানায় প্রস্রাব করা।
- শরিলে চুলকানি।
- পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা।
- প্রস্রবের পরিবর্তন, প্রস্রাব কম বেশি হওয়া।
- প্রস্রাবের সময় ব্যাথা, জ্বালা করা।
- প্রস্রবের সাথে রক্ত, পুঁজ যাওয়া।
- প্রস্রবের সাথে পাথর বের হওয়া।
কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, কিডনির জন্য ক্ষতিকর এমন ওষুধ সেবন, জন্মগত কিডনির সমস্যা, ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, প্রভৃতি কিডনি রোগের ঝুঁকির জন্য অন্যতম।
কিডনি রোগের প্রতিকার
অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত অনলাইন বা ওয়েবসাইটে কিডনি রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই পোস্ট টি। পাঠক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের কথা ভেবে নিয়ে এলাম কিডনি রোগের প্রতিকার সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা কিডনি রোগের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি আমাদের আজকের এই কিডনি রোগের প্রতিকার সমুহ সংগ্রহ করে আপনি নিজের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন এবং আপনার পরিচিত যারা কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারবেন। নিচে কিডনি রোগের প্রতিকার সমুহ তুলে ধরা হলো:
- যাদের উচ্চরক্তচাপ আছে এবং ডায়াবেটিস আছে এই রোগ গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- প্রস্রাবে পরিবর্তন, প্রস্রাব কম বেশি হলে, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া,প্রস্রবের সাথে রক্ত বা পুঁজ গেলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
- অতিরিক্ত ব্যাথানাশক এবং এন্টিবায়োটিক ঔষুদ সেবন থেকে বিরত থাকা।
- উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা।
- খাদ্য তালিকা তাজা ফলমূল, সবজি রাখা।
- পর্যাপ্ত পরিমানে পানি খাওয়া।
- ধুমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা।
- পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম করা।
- ওজন কমানো।
- লবন কম খাওয়া।
- কিডনি রোগ স্পষ্ট হলে চিকিৎসার ব্যাবস্থা গ্রহন করা।