মেয়ে পটানোর টিপস। মেয়ে পটানোর সহজ উপায়। কিভাবে মেয়ে পটাতে হয়
মেয়ে পটানোর উপায় গুলি সম্পর্কে যারা জানতে চান তাদের জন্য এই পোস্টটি। এখানে আমরা আলোচনা করব মেয়ে পটানোর উপায় সম্পর্কে। সুতরাং যারা অনলাইনে এসেছেন মেয়ে পটানোর উপায় গুলি সম্পর্কে জানার জন্য তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে বিপুল সংখ্যক ছেলে অনলাইনে এসে থাকেন এই বিষয়গুলি সম্পর্কে জানার জন্য। যদিও এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন কতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় তবে অনেক ছেলেই চায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানার জন্য। আমাদের সমাজে প্রেমের প্রচলন অনেক বেশি। খুব অল্প বয়স থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স এমনকি বিয়ের পরেও অনেকে প্রেম ভালবাসায় জড়িয়ে থাকেন।
কিছু সংখ্যক ছেলে রয়েছে যারা একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে। আবার এমন কিছু ছেলে রয়েছে যাদের কোনো সম্পর্কের সাথে জড়িত দেখা যায় না। অনেক ছেলে রয়েছেন যারা চায় সম্পর্কের সাথে জড়িত হতে। কিংবা প্রেম ভালোবাসা করতে। তবে এক্ষেত্রে মেয়েদেরকে রাজি করাতে গিয়ে ব্যর্থ হয় অনেকেই।
এ কারণেই আমরা এই পোস্টে মেয়েদেরকে প্রেমে রাজি অর্থাৎ মেয়ে পটানোর টিপস গুলো শেয়ার করবো। মেয়ে মানুষের মন বুঝে অর্থাৎ মেয়েদের কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে তাদের কাজ করব আচার-ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে মেয়েদেরকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এই বিভক্ত রোগ গুলির উপর ভিত্তি করে মেয়েদেরকে পটানোর চেষ্টা করলে অবশ্যই বেটি আপনার সম্পর্কে রাজি হবেন। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই আমাদের দেওয়া পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এতে করে আপনি খুব সহজেই মেয়ে পটাতে পারবেন।
মেয়ে পটানোর উপায়
আপনি কি আপনার পছন্দের মেয়েটির সাথে সম্পর্কে যেতে পারছেন না। বারবার প্রস্তাব দেওয়ার পরও মেয়েটি আপনার সম্পর্কে রাজি হচ্ছে না তাহলে এখান থেকে এ বিষয়ে সমাধান পেতে পারেন। তবে মেয়ে পটানোর জন্য যে বিষয়টির উপর আপনাদের গুরুত্ব হবে সেটি হচ্ছে মেয়েটি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন। মেয়েটির পছন্দ হয়েছে কিনা অন্য কোথাও কিংবা অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে কিনা এই বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক না জানেন তবে আপনি মেয়েটিকে পাঠাতে অথবা আপনার প্রেমে ফেলতে ব্যর্থ হবেন। এর কারণ কোন মেয়েই চায় না একসাথে মন দিয়ে দুজনকে ভালবাসতে। একটি ভালো মনের মানুষ অথবা একটি চরিত্রবান মেয়ে কখনো একসাথে দুইটি ছেলের সাথে সম্পর্কে যেতে চায়না।
অর্থাৎ আপনার পছন্দের মেয়েটির যদি কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে তাহলে তাকে আপনার প্রেম প্রস্তাব না দেওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে আপনাদের একটি কাজ করা যেতে পারে, আপনি যদি আপনার পছন্দের মানুষটিকে পেতে চান তাহলে তার সম্পর্কে সবসময়ই খবর নিতে হবে। যদি কখনো কোন সময় আপনার পছন্দের মানুষটির অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক চিহ্ন হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি ট্রাই করতে পারেন। তবে সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে আপনি প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়াই ভাল।
মেয়ে পটানোর ১০ টি সহজ উপায়
অনেকেরই প্রথম দেখায় কোন মেয়েকে মনে ধরে। কিন্তু তারা বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন না। আপনি নিজেও দ্বন্দ্বে ভোগেন যে মেয়েটি আদৌ আমার ডাকে সাড়া দেবে? কি ভাবে সে পটবে। তাই আপনাদের এই মনের দ্বিধাকে দূর করে সমাধানের জন্য রইল এই ১০ টি উপায়:
১) কোন মেয়ের সাথেই প্রথম দেখায় বেশী খোলাখুলি হতে যাবেন না। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কথা বলবেন না, ফলে মেয়েটি আপনাকে বাচাল ভাবতে পারে, আর মেয়েরা বেশী কথা বলা পছন্দ করে না, তাই বেশীর ভাগ সময় শ্রোতা হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি ধরে রাখুন । কিন্তু যদি দেখেন মেয়েটি কিছুই বলছে না তাহলে প্রথম ধাপটিতে আপনিই না হয় পা দিন।
২) কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝে তার প্রশংসা করুন, কিন্তু হ্যাঁ মনে রাখবেন সেটি যেন যুক্তিযত হয়, মেয়েটির যেই গুনটি আছে সেটি নিয়েই প্রশংসা করুন, কারন অনেক মেয়ে আছে যারা অযথা মিথ্যা প্রশংসা পছন্দ করে না। তাই এই ক্ষেত্রে সাবধানে পা বাড়াবেন।
৩) প্রথম দেখাতেই ছোট কিছু উপহার দিন, কারন মেয়েরা দামী উপহারের থেকেও বেশী সময় , গুরুত্বকে মূল্য দেয়। কোন দামী উপহার দিয়ে তাকে অপ্রস্তুতকর পরিস্থিতিতে ফেলবেন না। ছোট উপহারের মধ্যে বেস্ট হচ্ছে একগুচ্ছ গোলাপ।
৪) মেয়েটির সাথে তার জীবনে ঘটা সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিন, তাকে বোঝান আপনি তার পাশে আছেন সর্বক্ষণ, বিপদে আপদে আপনি তার হাত ছাড়বেন না। আপনি চাইলে নিজের জীবনের ঘটে যাওয়া কোন খারাপ পরিস্থিতির কথা বলতে পারেন। আপনি কিভাবে সেই পরিস্থিতি কাটিয়েছেন তাতে মেয়েটিও ভরসা পাবে।
৫) মেয়েরা একটু অগোছালো প্রকৃতির ছেলে ভালোবাসে, তাই আপনি মিস্টার পারফেক্টশন এটা জাহির করলে সর্বনাশ। তাই বলে একদম ছেড়া ফাটা জামা পড়ে চলে যাবেন না দেখা করতে। সুবাসযুক্ত মনমাতানো পারফিউম মেখে যাবেন। জামাকাপড়ের মধ্যে যেন একটু আভিজত্য ও রুচিসম্পন্নতার ছোঁয়া থাকে। কারন কথায় আছে ‘ফাস্ট ইম্প্রেশন ইস দ্যা লাস্ট ইম্প্রেশন’।
৬) অনেক মেয়ে আছে যাদের একটু বেশী দেমাগ, কিছুতেই আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না তাঁদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা ট্রিটমেন্ট । মাইনাসে মাইনাসে প্লাস হয় জানেন তো সেটাই এপ্লাই করুন। মেয়েটিকে একদমই পাত্তা দেবেন না। পারলে তার সামনে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলুন , হাসাহাসি করুন, অতেই কাজ হবে। মেয়েটি কিন্তু ভেতর ভেতর জ্বলতে থাকবে। দেখবেন আপনাকে বেশী কষ্ট করতে হচ্ছে না, সেই মেয়ে নিজেই এসে কথা বলছে।
৭) যদি দেখেন মেয়েটি বেশী ভাব গম্ভীর। তাহলে মাঝে মাঝে একটু রসিকতা করুন। কিন্তু ভুলেও কোন ননভেজ জোকস বলবেন না, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। হাসির জোকস শুনিয়ে তাকেও হাসান নিজেও হাসুন, কে বলতে পারে আপনার মুখের হাসিতে মেয়েটি আকর্ষিত হয়ে পড়ল।
৮) মেসেজ করে তার খোঁজ খবর নিন, কিন্তু সেটি করতে গিয়ে বিরক্ত করে বসবেন না, কিছু কিছু বিষয় যানতে মেসেজ করুন- সে বাড়ি পৌঁছেছে কিনা, তার শরীর কেমন আছে, তার পরিবারবর্গের খোঁজ নিন। রাস্তায় কোন অসুবিধার মধ্যে পড়েছে কিনা জানুন, কোন অসুবিধা পড়লে তাকে নিতে চলে যান, তার কোন জরুরি বিষয়ের প্রয়োজন আছে কিনা সেটা মেটান। আর অবশ্যই গুড মর্নিং এবং গুড নাইট লিখতে ভুলবেন না।
৯) তার হ্যাঁ তে হ্যাঁ ও না তে না বলা প্র্যাকটিস করুন। কিন্তু যদি দেখেন সে ভুল পথে অগ্ৰসর হচ্ছে তাকে সঠিক রাস্তা দেখান, কিন্ত ভুলেও তর্ক বিতর্কে যাবেন না, নিজেকে সঠিক প্রমান করার প্রচেস্টায় থাকবেন না।
১০) যদি এতো কিছু করেও কোন কাজ না হয়, তাহলে আঙুল বাঁকান, কারন ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকাতে হয়’। মেয়ের মা বা বাবাকে পটান। যদি সুযোগ হয় দুজনকেই পটিয়ে নিন। কারন তারা পটে গেলে আপনার কাজ সহজ হয়ে পারে। কে বলতে পারে আপনার হিল্লে হয়ে গেল।